ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের সর্বশেষ এক মাস ১১ দিনের বেতনের টাকা করোনায় কার্যত লকডাউনে থাকা অসহায় গরিবদের দান করবেন। সুমন চান তার এই কাজে উৎসাহিত হোক দেশের হাজারো বিচারক ও আইনজীবীসহ সাংবিধানিক পোস্টধারীরা। ৪১ দিনের বেতন দানের বিষয়টি ব্যারিস্টার সুমন নিশ্চিত করে বলেন,করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে বিশ্বে ৫৩ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছেন। এরই মধ্যে বাংলাদেশেও করোনার প্রভাব পড়েছে। তাই করোনার বিস্তার রোধে কার্যত লকডাউন চলছে সারাদেশব্যপী।

এর মধ্যে দিন আনে দিন খায় এমন নিম্ন আয়ের মানুষ ও নিম্ম মধ্যবিত্তদের সংসার চালাতে কষ্ট করতে হচ্ছে। বাংলাদেশের পুলিশ পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে তাদের বেতনের টাকা প্রধানমন্ত্রীর তহবিলে অনুদান হিসেবে জমা দিয়েছেন। পুলিশের পক্ষ থেকে এবং অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকে সহযোগীতা নিয়ে এগিয়ে এলেও সরকারের সচিবসহ বিভিন্ন সরকারি চাকরিজীবীরা এখনো সাড়া দেননি।

ব্যারিস্টার সুমন বলেন, আমি দান করার বিষয়টি প্রকাশ করছি এইজন্য যে করোনা মোকাবেলায় শুধু সরকার কেন একা ভাববেন। এটি একটি আন্তর্জাতিক দুর্যোগ। তাই এই দুর্যোগে সরকার কেন একা দায়িত্ব পালন করবে। আইন অঙ্গনের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ও হাইকোর্টের বিচারকসহ দেশের সকল বিচারক ও আইনজীবী ও অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় রয়েছে। তারা এগিয়ে আসতে পারেন।

নির্বাচন কমিশনারসহ দেশের সাংবিধানিক পোস্টে যারা রয়েছেন, তারা কমপক্ষে এক-দুই দিনের বেতনও যদি প্রধানমন্ত্রীর তহবিলে দান করেন তাহলে এই দুর্যোগের সময়ে অসহায় মানুষের অনেক উপকার হবে। এজন্য আমি আমার বেতনের টাকা দান করে তা জানিয়ে দেশের সর্বস্তরের মানুষকে উৎসাহিত করছি।

একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। পদত্যাগের বিষয়ে সুমন জাগো নিউজকে বলেছিলেন, সামাজিক বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে স্বেচ্ছায় জড়িত হওয়ায় ট্রাইব্যুনালে সময় দিতে পারছি না। এ অবস্থায় সরকারের কোষাগার থেকে বেতন নেয়া অনৈতিক মনে করায় আমি পদত্যাগ করেছি।